অন্দরে রঙের ছোঁয়া…

অন্দরে রঙের ছোঁয়া:

ইট-পাথরের এই যান্ত্রিক শহরে ঘরে ঢুকে সবাই চায় নিজের মতো একটা পরিবেশ। একেবারেই নিজের মনের মতো আবেশ থাকবে ঘরের চারপাশজুড়ে। দিন শেষে যেন খুঁজে পাওয়া যায় কিছুটা বৈচিত্র্য। আর তাই অনেকেই ঘরের ভারী আসবাবের মাঝে দেয়ালেও ঝুলিয়ে থাকেন নানা ধরনের পেইন্টিং। একেকটি পেইন্টিংয়ের থাকে বিশাল আবেদন। তবে কেবল পেইন্টিং ঘরে ঝোলালেই হবে না, ঘরের দেয়ালটা কেমন কিংবা আসবাবের ধরন অথবা কোন ঘরে পেইন্টিং রাখা হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে পেইন্টিংয়ের বিষয় কেমন হবে।
একটি পেইন্টিংয়ের আবেদন অনেক বেশি। একজন মানুষের রুচি কেমন বা তিনি কোন পেশার, তা সেই ব্যক্তির ঘরের পেইন্টিং দেখে বোঝা যায়। তাই যেকোনো ঘরে পেইন্টিং ব্যবহারের আগে কোন ঘরে লাগানো হচ্ছে, বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। অনেকে মনে করেন, ঘরে একটি পেইন্টিং লাগালেই হয়। আবার এর বিপরীত চিন্তার মানুষও রয়েছে। পেইন্টিংপ্রেমীরা পেইন্টিংকে এত বেশি গুরুত্ব দেন যে কখনো কখনো ঘরের দেয়ালের রংটি পর্যন্ত বদলে ফেলেন। এখন পেইন্টিংয়ের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য লক্ষ করা যাচ্ছে। পেইন্টিংকে নিছক ঘর সাজানোর উপকরণ না ভেবে বরং প্রতিদিনের কাজ করার শক্তি নেওয়া যেতে পারে ঘরে ঝোলানো একটি পেইন্টিং থেকে।

কোন ঘরে কেমন-
প্রতিটি ঘরের ধরন এবং আসবাবের ধরন বুঝে পেইন্টিং ঝোলালে ভালো। শোবার ঘরের জন্য সবচেয়ে ভালো হালকা রঙের পেইন্টিং। কেননা, শোবার ঘরে সবাই চান কিছুটা স্নিগ্ধ আবেশ। তির্যক রং শোবার ঘরের সঙ্গে মানায় না। শোবার ঘরে প্রকৃতির কোনো পেইন্টিং, ব্যক্তির প্রতিকৃতি কিংবা রাখা যেতে পারে বিমূর্ত কোনো পেইন্টিং। শিশুদের ঘরে উজ্জ্বল রঙের সঙ্গে কার্টুনের ছবিসংবলিত কোনো পেইন্টিং হলে ভালো হয়।
করিডরের দুই দেয়ালজুড়ে বিভিন্ন আকারের বেশ কিছু পেইন্টিং ঝোলালে বেশ ভালো লাগে।
বারান্দার পেইন্টিং আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত করলে ভালো হয়। আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে যেন নিমেষেই মানিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে বলে মনে করেন এই ডিজাইনার।
কোন ঘরে কোন পেইন্টিং ঝোলানো হচ্ছে সেদিকে লক্ষ রাখার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কীভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে সেদিকে। পেইন্টিং যদি কাচ দিয়ে ফ্রেমিং করে বাঁধানো হয়, সে ক্ষেত্রে পেইন্টিংয়ের ওপর ছোট আলো লাগানো যেতে পারে। তবে আলোগুলো যেন দৃশ্যমান না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। আর কাচ ছাড়া ফ্রেমিং করলে আলাদা করে আলো লাগানোর দরকার হয় না।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা-
এই পেইন্টিংগুলো কেবল ঝোলালেই হবে না, বরং সঠিকভাবে পরিষ্কার করার কথাও বলেন তিনি। কোলাজ-জাতীয় পেইন্টিং (ওপরে কাচের আবরণ ছাড়া কাঠ এবং বিভিন্ন রং দিয়ে তৈরি) রসুন কিংবা পেঁয়াজের রস দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। মিক্সমিডিয়া দিয়ে তৈরি পেইন্টিং ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। নিয়ম করে পেইন্টিং পরিষ্কার করলে এগুলো দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা যায়।